ইরানের নতুন অত্যাধুনিক গোয়েন্দা জাহাজ ‘জাগরোস’ সাগরে নামানো হলো
- By Jamini Roy --
- 15 January, 2025
ইরান তার সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৫ জানুয়ারি) অত্যাধুনিক গোয়েন্দা জাহাজ ‘জাগরোস’ সাগরে নামিয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন প্রেস টিভি জানিয়েছে, এটি সম্পূর্ণরূপে ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি। জাহাজটি ইলেকট্রনিক সেন্সর, ইন্টারসেপ্টর, সাইবার এবং আধুনিক গোয়েন্দা প্রযুক্তিতে সজ্জিত।
ইরানের নৌবাহিনী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞরা জাহাজটি তৈরি করেছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল শাহরাম ইরানি। তিনি বলেন, "জাগরোস হবে আমাদের নৌবাহিনীর গভীর সমুদ্র ও মহাসাগরে সতর্ক দৃষ্টি। এটি নৌবাহিনীর চোখ হিসেবে কাজ করবে।"
জাহাজটি ইরানের সামরিক সক্ষমতার প্রতীক হিসেবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা বাড়ানোর একটি বড় উদ্যোগ। প্রেস টিভির খবরে বলা হয়, এটি ইরানের প্রথম গোয়েন্দা জাহাজ, যা নৌবাহিনীর যুদ্ধ অভিযানে যুক্ত করা হয়েছে।
ইরানের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির উদ্যোগে সম্প্রতি বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
১. ড্রোনবাহী রণতরী: গত মাসে তেহরান একটি ড্রোনবাহী রণতরী উদ্বোধন করেছে।
২. ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি: ১০ জানুয়ারি একটি ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি উন্মোচন করে ইরান।
৩. নতুন ড্রোন সংযোজন: ইরানের সামরিক বাহিনীর বহরে এক হাজার ড্রোন যুক্ত করা হয়েছে, যা দুই হাজার কিলোমিটার দূর পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম।
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাত এবং আঞ্চলিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ইরানের সামরিক প্রস্তুতি আরও জোরদার হয়েছে। গাজা সংঘাতের জেরে ইসরাইল এবং ইরানের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
ইরান সমর্থিত সিরিয়ার বাশার আল-আসাদের সরকারের পতন, যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার ক্ষমতা গ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতে সংঘাত আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে ইরান একের পর এক নতুন সামরিক প্রযুক্তি ও বাহন উন্মোচন করছে।
‘জাগরোস’-এর মতো জাহাজ নৌবাহিনীর সক্ষমতাকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। ইরানের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির এমন পদক্ষেপ আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তাদের অবস্থানকে আরও সুসংহত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।